arsenic pollution in west bengal
What is Arsenik pollution?
Q 1: আর্সেনিক দূষণ কী ?
উত্তর :-
অতিরিক্ত আর্সেনিক যুক্ত হয়ে জল বা মাটি দূষিত হওয়াকে আর্সেনিক দূষণ (Arsenik pollution) বলে ।
আর্সেনিক হল একটি মৌল। ধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে আর্সেনিক বিভিন্ন বিষাক্ত ধাতব যৌগ তৈরী করতে পারে।
Q 2: কোন কোন জিনিসকে আর্সেনিক বেশি দূষিত করে ?
উত্তর :-
অতিরিক্ত আর্সেনিক যুক্ত হয়ে i) জল এবং ii)মাটি কে।
Q 3: আর্সেনিক দূষণ কেন ঘটে ?
উত্তর :-
আজকাল জলে আর্সেনিক দূষণের মাটিও দূষিত হচ্ছে এবং মাটিতে অতিরিক্ত আর্সেনিক জমা হয়ে মাটির গভীরে আর্সেনিক স্তর হিসাবে জমা হচ্ছে এটা বিজ্ঞানীরা মনে করেন। মাটিতে লোহা ও অ্যালুমিনিয়ামের পরিমান বেশি থাকলে সেই মাটিতে আর্সেনিকের পরিমানও বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
Q 4: কোন কোন দেশের আর্সেনিক দূষণ দেখা যায় ?
উত্তর :-
ভারত , বাংলাদেশ , মায়ানমার , শ্রীলঙ্কা , মেক্সিকো , কানাডা , জার্মানি , রাশিয়া , চীন , তাইওয়ান প্রভৃতি দেশের মাটিতে লোহা ও অ্যালুমিনিয়ামের পরিমান বেশি থাকে বলে আর্সেনিকে আক্রান্ত হয় ।
Q 5: মানুষের ওপর আর্সেনিক দূষণের প্রভাব কী ?
উত্তর :-
(1) ফুসফুসের প্রদাহ ,অ্যাজমা , ব্রংকাইটিস হয় ।
(2) যকৃতের রোগ দেখা দেয় ।
(3) মানুষের ত্বক ,নখ ও চুলে আর্সেনিক সঞ্চিত হয়ে গায়ে ফুসকুড়ি , হাতে পায়ে কালো দাগ , চুলকুনি , ক্যান্সার , হতে পারে । হাতে ও পায়ের নখে অসংখ্য সাদা দাগ তৈরী হয় । একে "মিজ রেখা" বা "অল্ডিরিচ মিজ লাইন" (Mees Line ; Aldrich Mees Line) বলে ।
(4) গায়ে , মুখে নীলচে ছোপ দেখা দেয় ।
(5) মূত্রনালীতে রোগ হয় ।
(6) পায়ের পাতায় কালো রঙ্গে ঘা হয় । একে "ব্ল্যাকফুট" (Blackfoot disease) বলে । এই রোগে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাইওয়ানে মারা গেছে ।
Q 6: উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর ওপর আর্সেনিক দূষণের প্রভাব কী ?
উত্তর :-
উদ্ভিদের কোশে আর্সেনিক জমা হয় এবং ওই কোশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ।
আর্সেনিক দূষণে জীবজন্তুর চর্মরোগ হয় ।
ফুসফুস আক্রান্ত হয় ।
যকৃতের রোগ হয় ।
What is Arsenicosis ?
Q 7: আর্সেনিকোসিস কাকে বলে ?
উত্তর :-
আর্সেনিক দূষণের ফলে মানুষের দেহে যে রোগের সৃষ্টি হয় , সেই রোগেকে আর্সেনিকোসিস (Arsenicosis) বলে ।
Q 8: প্রতি লিটার জলে আর্সেনিকের কত পরিমান থাকে ?
উত্তর :-
প্রতি লিটার জলে আর্সেনিকের পরিমান 0.01 মিলিগ্রাম / লিটার। 1000 মাইক্রোগ্রাম [μg] = 1 মিলিগ্রাম।
Q 9: আর্সেনিক কোন কাজে ব্যবহৃত হয় ?
উত্তর :-
বিষাক্ত এবং ক্ষতিকর হওয়া সত্বেও আর্সেনিক বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় । যেমন :-
(1) কৃষিকাজে কীটনাশক হিসাবে ।
(2) কাষ্ঠ শিল্পে কাঠ সংরক্ষক রাসায়নিক উপাদান হিসাবে ।
(3) ওষুধ শিল্প, ইলেকট্রোনিক শিল্প , রং উৎপাদন , সাবান উৎপাদন , ব্যাটারি নির্মাণ , কাচের সামগ্রী উৎপাদন ইত্যাদি কাজে ।
(4) পশুপালনের কাজে রোগ নিবারণকারী উপাদান হিসাবে ।
arsenic pollution in west bengal
Q 10: আর্সেনিক দূষণের মাত্রা পশ্চিমবঙ্গে কোথায় কোথায় খুব বেশি ?
উত্তর :-
পশ্চিমবঙ্গে 12 টি জেলায় আর 111টি ব্লকে দেখা যায়।
উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ,নদিয়া, মালদহ ,বর্ধমান ,মুর্শিদাবাদ ইত্যাদি জেলায় ।
Q 11: আর্সেনিক দূষণ নিয়ন্ত্রনের উপায় কী ?
উত্তর :-
পানীয় জলকে পরোপুরি আর্সেনিক মুক্ত করার উপায় 2016 সালে যাদবপুরের ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশন ফর দি কাল্টিভেশন অব সায়েন্স (LACS) এর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন । পদ্ধতি হল - আর্সেনিক দুষিত জলের সঙ্গে জিঙ্ক সালফাইড (Zinc sulphide) যৌগ মিশালে আর্সেনিক মুক্ত হয়ে যায় এবং নিরাপদ পানীয় জল হয় ।
(2) ভূপৃষ্ঠের জল যেমন পুকুর,জলাশয় , হ্রদ ,নদীর জল পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করা যায় । বৃষ্টির জলও ব্যবহারের যোগ্য । এইসব জল আর্সেনিক দূষিত হয় না ।
(3) স্বল্প গভীর জলস্তর থেকে তোলা ভৌমজল ব্যবহার করা উচিত নয় ।
(4) আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিগুলির মধ্যে অন্যতম হল কো-প্রেসিপিটেসন (co-precipitation), আয়ন এক্সিচেঞ্জ (ion exchange), (activated alumina filtration) ইত্যাদি ।
More read 👇👇👇
👉 Geography Test👈