নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ বচন কাকে বলে? উভয় প্রকার বচনের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।
নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ বচন কাকে বলে? উভয় প্রকার বচনের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।
নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ বচন কাকে বলে? উভয় প্রকার বচনের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।
উত্তর:- নিরপেক্ষ বচন- যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের সম্বন্ধ কোনোরকম শর্তের ওপর নির্ভর করে না অর্থাৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়কে শর্তনিরপেক্ষভাবে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়, তাকে নিরপেক্ষ বচন বলে।
যেমন:-
কোনো কোনো প্রাণী হয় বুদ্ধিমান। -- এই বচনে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কোনো কোনো প্রাণীর সম্বন্ধকে নিঃশর্তভাবে স্বীকার করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রাণীর সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক কোনো শর্তনির্ভর নয়।
সাপেক্ষ বচন কাকে বলে?
উত্তর:- সাপেক্ষ বচন- যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে সম্বন্ধের স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি শর্তনির্ভর তাকে সাপেক্ষ বচন বলে।
যেমন :-
যদি রাম আসে তবে আমি যাব -- এই বচনে আমার যাওয়া রামের আসার উপর নির্ভরশীল, অর্থাৎ বচনটি শর্তসাপেক্ষ।
নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ বচনের পার্থক্য
✇ নিরপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের সম্বন্ধ শর্তনিরপেক্ষ, কিন্তু সাপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের সম্বন্ধ শর্তসাপেক্ষ।
✇ নিরপেক্ষ বচনে গুন ও পরিমাণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকে, কিন্তু সাপেক্ষ বচনে গুন ও পরিমাণ স্পষ্টভাবে সর্বদা উল্লেখ করা থাকে না।
✇ নিরপেক্ষ বচন মানেই অযৌগিক বচন মাত্র, কিন্তু সাপেক্ষ বচন মানে যৌগিক বচন মাত্র।
✇ নিরপেক্ষ বচনের আকার হলো - s হয় p অথবা s নয় p । কিন্তু সাপেক্ষ বচনের আকার হলো - যদি p তবে q আর p অথবা q ।
✇ নিরপেক্ষ বচনের চারটি অংশ। পরিমাণক, উদ্দেশ্য,সংযোজক, বিধেয়। কিন্তু সাপেক্ষ বচনের প্রাকল্পিক বচনের দুটি অংশ- পূর্বগ ও অনুগ। বৈকল্পিক বচনের দুটি অংশই বিকল্প নামে পরিচিত।
নিরপেক্ষ বচনের পদের ব্যাপ্যতা কী বোঝো?
উত্তর :- যে বচনে কোনো পদের সামগ্রিক বাচ্যার্থকে গ্রহণ করা হয়, তাকে পদের ব্যাপ্যতা বলে।
যেমন-
সকল কাক হয় কালো।
বাচ্যার্থ হলো পদের বস্তুবাচক অর্থ। অর্থাৎ পদটি যে ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করে, সেই ব্যক্তি বা বস্তু হলো ওই পদটির বাচ্যার্থ। এখানে বাচ্যার্থ হলো 'কাক' পদটির দ্বারা যে জাতীয় জীবকে বোঝায়,সে জাতীয় জীবই। বচনে কোনো পদের সমগ্র বাচ্যার্থকে গ্রহণ করা হলে পদটি ব্যাপ্য হয়ে থাকে।
খুব ভালো উপকারী
Thankyou