Ads

আবর্তন কী ? O বচনের আবর্তন সম্ভব নয় কেন? || Philosophy

❋ আবর্তন কী ? O বচনের আবর্তন সম্ভব নয় কেন? উদাহরণসহ লেখো।
❋ অথবা , O বচনের আবর্তন কেন অবৈধ উদাহরণসহ  লেখো।  ২+৬ = ৮

O বচনের আবর্তন সম্ভব নয় কেন
আবর্তন কী ? O বচনের আবর্তন সম্ভব নয় কেন? || Philosophy




উত্তর :- আবর্তন : যে অমাধ্যম অনুমানে একটি বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয়কে ন্যায় সঙ্গতভাবে যথাক্রমে অন্য একটি বচনের বিধেয় ও উদ্দেশ্যে পরিণত করা হয় , সেই অমাধ্যম অনুমানকে আবর্তন বলে।
  আবর্তনের ক্ষেত্রে হেতুবাক্যটিকে বলা হয় আবর্তনীয় এবং এর সিদ্ধান্তটিকে বলা হয় আবর্তিত।

যেমন :- L .F "A" :- সকল কবি হন দার্শনিক।  (আবর্তনীয়)
          ∴  L .F "I " :- কোনো কোনো দার্শনিক হন কবি। (আবর্তিত)

❋"O" বচনের আবর্তন সম্ভব নয় :- কেন "O" বচনের আবর্তন সম্ভব নয়  কারণ --
 
 যেমন :- L .F "O " :- কোনো কোনো ফুল নয় লাল।  (আবর্তনীয়)
                                                   X           ✔️ 
          ∴  L .F "O " :- কোনো কোনো লাল বস্তু নয় ফুল। (আবর্তিত)
                                                   X               ✔️



এই আবর্তনটি অবৈধ , কারণ এখানে যুক্তি সংগতভাবে O বচনকে আবর্তিত করা হয়নি। এই যুক্তিতে আবর্তনের ব্যাপ্যতার নিয়মটি লঙ্ঘিত হয়েছে। আবর্তনের নিয়ম অনুসারে হেতুবাক্যের উদ্দেশ্য (ফুল) সিদ্ধান্তের বিধেয় হয়েছে, আবার হেতুবাক্যের বিধেয় (লাল) সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হয়েছে।  তাছাড়া হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্ত দুটি বচনের গুন্ এক --দুটি বচনই নঞৰ্থক বচন।  কিন্তু আবর্তনের যে পদ হেতুবাক্যে ব্যাপ্য  হয়নি , সেই পদ সিদ্ধান্তেও ব্যাপ্য হতে পারবে না - তাই  নিয়মটি লঙ্ঘন করেছে। এই যুক্তিটিতে সিদ্ধান্তের বিধেয় পদ "ফুল" O বচনের বিধেয় পদ হওয়াতে ব্যাপ্য হয়েছে , কিন্তু এই "ফুল" পদটি হেতুবাক্য O বচনের উদ্দেশ্য পদ হওয়াতে ব্যাপ্য হয়নি। এই কারণে সিদ্ধান্তটি বৈধ নয়। 

   সুতরাং , O বচনের আবর্তন বৈধ নয় "O" বচনের আবর্তনে ব্যাপ্যতা-সংক্রান্ত নিয়মটি লংঘিত হয়।  






                                                            টীকা 




কাকতালীয় দোষ :- কারন  হল কার্যের পূর্বগামী এবং কার্য হল কারনের অনুগামী ঘটনা। কিন্তু যে-কোনো পূর্বগামী ঘটনাকে কারণ হিসেবে গ্রহণ করলে যুক্তিতে যে দোষের উদ্ভব হয় , তাকে বলা হয় "কাকতালীয় দোষ"


যেমন :- হাঁচি পড়ার ঠিক পরেই দুর্ঘনাটি ঘটেছে , তাই হাঁচি পড়াই দুর্ঘটনার কারণ বলে অনুমান করা হল কাকতালীয় দোষ।


                                                         মন্দ উপমাযুক্তি

মন্দ উপমাযুক্তি :-  দুই বা ততোধিক বস্তুর মধ্যে কয়েকটি বিষয়ে সাদৃশ্য দেখে এবং সেই সাদৃশ্যের ভিত্তিতে যখন তাদের মধ্যে অপর কোনো নতুন সাদৃশ্যের অস্তিত্ব অনুমান করা হয় , তখন তাকে বলা হয় মন্দ উপমাযুক্তি 

যেমন :- পৃথিবী ও মঙ্গল উভয়েই গ্রহ। উভয় গ্রহেই মাটি , জল , তাপ আছে। পৃথিবীতে প্রাণ আছে। সুতরাং , মঙ্গলেও প্রাণ আছে।



                                                    অবৈধ সামান্যিকরণ দোষ

অবৈধ সামান্যিকরণ দোষ :-লৌকিক আরোহের ক্ষেত্রে কার্যকারণ সম্পর্কের উপর নির্ভর না করে বা কার্যকারণ সম্পর্কে আবিষ্কারের চেষ্টা না করে কেবলমাত্র অবাধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দ্রুত সামান্যিকরণ করা হয়। এর ফলে যুক্তিতে যে দোষ ঘটে তাকে বলা হয়  "অবৈধ সামান্যিকরণ দোষ"




যেমন :- কয়েকজন মানুষ শিক্ষিত জেনে যদি বলা হয় - সব মানুষ শিক্ষিত , তাহলে অবৈধ সামান্যিকারণ দোষ হবে।







                                  
















Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url