Argument definition Philosophy
Argument short questions and answers (যুক্তির শর্ট প্রশ্ন উত্তর)
Argument short questions and answers in Bengali
1) তর্কবিদ্যার সংজ্ঞা কি ? অথবা তর্কবিদ্যা কাকে বলে ?
উত্তর:- যে বৈধ যুক্তিকে অযথার্থ বা অবৈধ যুক্তি থেকে পৃথক করার জন্য কতকগুলি নিয়ম ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করে , তাকেই বলে তর্কবিদ্যা বা তর্কবিজ্ঞান বা যুক্তিবিজ্ঞান ।
2) ভাষায় প্রকাশিত যে-কোনো অনুমানকেই যুক্তি বলা যায় কী ?
উত্তর:- ভাষায় প্রকাশিত যে-কোনো অনুমানকেই যুক্তি বলা যায় না ।
3) যুক্তির বৈশিষ্ট্য কি ?
উত্তর:- ভাষায় প্রকাশিত যে-কোনো অনুমানকেই যুক্তি বলা যায় না । যুক্তির কিছু বৈশিষ্ট্য আছে । যথা-
(i) একাধিক বচন বা বাক্য দ্বারা গঠিত
(ii) দুটি অংশ সমন্বিত
(iii) হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্তের অন্তঃস্থিত সম্বন্ধস্বরূপ
(i) একাধিক বচন বা বাক্য দ্বারা গঠিত :- যুক্তি অবশ্যই একাধিক বচন বা বাক্য দ্বারা গঠিত হয় । অর্থাৎ , যুক্তি কখনোই একটি মাত্র বচন দ্বারা গঠিত হতে না । একাধিক বচনের সম্মিলিত রূপেই যুক্তিকে গঠন করা যায় ।
(ii) দুটি অংশ সমন্বিত :- যুক্তির দুটি অংশ -- হেতুবাক্য বা যুক্তিবাক্য এবং সিদ্ধান্ত ।
(iii) হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্তের অন্তঃস্থিত সম্বন্ধস্বরূপ :- যুক্তি হল হেতুবাক্য এবং সিদ্ধান্তের অন্তস্থিত এক সম্বন্ধস্বরূপ । অর্থাৎ , হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই - এমন বচন দ্বারা কোনো যুক্তিই গঠন করা যায় না ।
যেমন :-
রাম হয় বুদ্ধিমান ।
টেবিল হয় কাষ্ঠনির্মিত বস্তু ।
... পৃথিবী হয় গোল ।
এই বচন বা বাক্যগুলির সঙ্গে পারস্পরিকভাবে কোনো সংযোগ নেই বলেই চলে এই ধরনের বচনগুলি দ্বারা কোনো যুক্তি গঠন করা যায় না ।
সঠিক বচন বা বাক্য হল -
সকল মানুষ হয় মরণশীল ।
রাম হয় মানুষ ।
...রাম হয় মরনশীল ।
4) হেতুবাক্য কি?
উত্তর:- যে বাক্য বা বচনগুলির সাহায্যে আমরা একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত হই, সেই বচন বা বচনগুলিকেই বলে হেতুবাক্য ।
সকল মানুষ হয় মরণশীল । -- (হেতুবাক্য)
রাম হয় মানুষ । -- (হেতুবাক্য)
...রাম হয় মরনশীল ।
5) সিদ্ধান্ত কি ?
উত্তর:- যে সমস্ত হেতুবাক্যের সাহায্যে যে বাক্য বা বচনটি প্রতিষ্টিত হয়, তাকেই বলে সিদ্ধান্ত।
সকল মানুষ হয় মরণশীল । -- (হেতুবাক্য)
রাম হয় মানুষ । -- (হেতুবাক্য)
...রাম হয় মরনশীল ।-- (সিদ্ধান্ত)
6) যুক্তির অবয়ব বা অংশ কি ?
উত্তর:- হেতুবাক্য এবং সিদ্ধান্তকে বলা হয় যুক্তির অবয়ব বা অংশ ।
7) অবরোহ যুক্তি কাকে বলে ?
উত্তর:- যে যুক্তির সিদ্ধান্ত এক বা একাধিক আশ্রয়বাক্য থেকে অনিবার্যভাবে ও বিধিসংগতভাবে নিঃসৃত হয় এবং সিদ্ধান্ত কখনও আশ্রয়বাক্য থেকে অধিক ব্যাপক হয় না , কম ব্যাপক বা সমব্যাপক হয় তাকে অবরোহ যুক্তি বলে ।
8) আরোহ যুক্তি কাকে বলে ?
উত্তর:- যে যুক্তিতে কয়েকটি বিশেষ বস্তু বা ঘটনা পর্যবেক্ষণ বা পরীক্ষণ করে , কার্যকারণ নিয়ম ও প্রকৃতির একরুপতা নীতির ওপর ভিত্তি করে, একটি সার্বিক সংশ্লেষক বচন সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠিত করা হয় , তাকে আরোহ যুক্তি বলে ।
9) অমাধ্যম যুক্তি কাকে বলে ?
উত্তর:- একটি আশ্রয়বাক্য থেকে , অর্থের কোনো পরিবর্তন না করে ,বিধিসম্মতভাবে এই যুক্তির সিদ্ধান্ত সরাসরি নিঃসৃত করা হয় , তাকে অমাধ্যম যুক্তি বা অমাধ্যম অনুমান বলে ।
10) মাধ্যম যুক্তি কাকে বলে ?
উত্তর:- একাধিক আশ্রয়বাক্য থেকে , বিধিসম্মতভাবে এই যুক্তির সিদ্ধান্ত অনিবার্যভাবে নিঃসৃত করা হয় , তাকে মাধ্যম যুক্তি বা মাধ্যম অনুমান বলে ।
11) বৈধ যুক্তি কাকে বলে ?
উত্তর:- যদি কোনো যুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়ম অনুসরণ করে অনিবার্যভাবে আশ্রয়বাক্য থেকে নিঃসৃত হয়, সেই যুক্তি বৈধ যুক্তি (Valid) বলে ।
12) অবৈধ যুক্তি কাকে বলে ?
উত্তর:- যদি কোনো যুক্তির যথাযথভাবে নিয়ম অনুসরণ না করে সিদ্ধান্ত নিঃসৃত করা হয় , তবে যুক্তিটিকে অবৈধ (Invalid) যুক্তি বলে ।
13) বৈধ যুক্তির বৈশিষ্ট্য কী ?
উত্তর:- বৈধ যুক্তির বৈশিষ্ট্য হল -
(i) বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে যুক্তি গঠন করা হলে যুক্তি বৈধ হয় ।
(ii) বৈধ যুক্তির সিদ্ধান্ত হেতুবাক্যে যুক্ত থাকে ।
(iii) সিদ্ধান্ত হেতুবাক্যকে অতিক্রম করে যায় না ।
(iv) বৈধ যুক্তির সিদ্ধান্ত অনিবার্যভাবে আশ্রয়বাক্য থেকে নিঃসৃত হয় ।
(v) বৈধ যুক্তির সিদ্ধান্ত সত্য বা মিথ্যা হতে পারে । কিন্তু কোনো বৈধ যুক্তির আশ্রয়বাক্য সত্য এবং সিদ্ধান্ত মিথ্যা হতে পারে না । এরূপ হলে যুক্তি অবৈধ হবে ।
(vi) অবরোহ যুক্তির বৈধতা হেতুবাক্যের সত্যতা বা সিদ্ধান্তের সত্যতার ওপর নির্ভর করে না । বৈধ অবরোহ যুক্তির হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ই মিথ্যা হতে পারে ।
(vii) কোনো যুক্তি বৈধ হলে সেই যুক্তি-আকারটি বৈধ হয় এবং ওই আকারের যে কোনো যুক্তিই বৈধ হয় ।
14) অবরোহ যুক্তির বৈশিষ্ট্য কী ?
উত্তর:- অবরোহ যুক্তির বৈশিষ্ট্য হল -
(i) অবরোহ যুক্তির ক্ষেত্রে যুক্তিবাক্যের সংখ্যা এক বা একাধিক হতে পারে ।
(ii) যুক্তিবাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় ।
(iii) সিদ্ধান্তে এমন কোনো বিষয় প্রমানিত হতে পারে না, যা যুক্তিবাক্যের মধ্যে যুক্ত নয় ।
(iv) যুক্তিবাক্যের ব্যাপকতার চেয়ে সিদ্ধান্তের ব্যাপকতা কখনোই বেশি হবে না ।
(v) অবরোহ যুক্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আকারগত সত্যতার ওপরেই গুরুত্ব দেওয়া হয়,বস্তুগত সত্যতার ওপর কোনো গুরুত্ব আরোপ করা হয় না ।
অর্থাৎ , বাস্তব ঘটনার সঙ্গে অবরোহ যুক্তির মিল থাকতেও পারে , আবার নাও থাকতে পারে । যুক্তির আকার কিন্তু এতে লঙ্ঘিত হয় না ।
(vi) অবরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তের সত্যতা তার যুক্তিবাক্যের সত্যতা থেকে নিঃসৃত হয় । সেই কারণে দাবি করা যায় যে , যুক্তিবাক্যগুলি সত্য হলে সিদ্ধান্তটি কখনোই মিথ্যা হতে পারে না ।
(vii) অবরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি কখনোই যুক্তিবাক্যের বক্তব্যবিষয়কে অতিক্রম করতে পারে না । যুক্তিবাক্যের অপ্রমাণিত বিষয়কেই তা সিদ্ধান্তে প্রমাণ করে মাত্র ।
(viii) সিদ্ধান্তের সত্যতাকে প্রমাণ করাই হল , অবরোহ যুক্তির মূল উদ্দেশ্য এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তির অপরাপর বিচার সম্ভব হয় ।
15) আরোহ যুক্তির বৈশিষ্ট্য কী ?
উত্তর:- আরোহ যুক্তির বৈশিষ্ট্য হল -
(i) অবরোহ যুক্তির মতো আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটিও সর্বদা যুক্তিবাক্য থেকে নিঃসৃত হয় ।
(ii) আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি সবসময়ই একাধিক যুক্তিবাক্য থেকে নিঃসৃত হয় ।
(iii) আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটিযুক্তিবাক্য থেকে নিঃসৃত হয় ঠিকই , কিন্তু তা কখনোই অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় না । অর্থাৎ , যুক্তিবাক্যগুলি সত্য হলেও , সিদ্ধান্তটি মিথ্যা হতে পারে ।
(iv) আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি সর্বদা যুক্তিবাক্যের চেয়ে ব্যাপকতর হয় । অর্থাৎ, ব্যাপকতা দিক থেকে তা সবসময়ই যুক্তিবাক্য অপেক্ষা বেশি ।
(v) আরোহ যুক্তির ক্ষেত্রে আকারগত সত্যতার সঙ্গে সঙ্গে বস্তুগত সত্যতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয় । অর্থাৎ, বস্তুগত সত্যতার দিকটিও এক্ষেত্রে উপেক্ষিত নয় ।
(vi) আরোহ যুক্তির মূল উদ্দেশ্য হল, বস্তুগত সত্য আবিষ্কারে সহায়তা করা ।
16) সত্যতার কয় প্রকার ও কি কি ?
উত্তর:- অবরোহ যুক্তিবিজ্ঞানে বচনের সত্যতাকে দু-ভাগে ভাগ করা যায় । যথা -
(i) আকারগত সত্যতা (Formal Truth)
(ii) বস্তুগত সত্যতা (Material Truth)
17) আকারগত সত্যতা কি ?
উত্তর:- আমাদের চিন্তার আকারের মধ্যে যদি কোনো প্রকার স্ববিরোধিতা বা অসংগতি দেখা না দেয়, তবে তাকে আকারগত সত্যতা বলে ।
যেমন :- সোনার পাথরবাটি,আকাশকুসুম ইত্যাদি ।
18) বস্তুগত সত্যতা কি ?
উত্তর:- বচনে প্রতিফলিত চিন্তার সঙ্গে বাস্তব জগতের যদি মিল বা সংগতি দেখা যায় , তাহলে বলা যায় যে ওই সমস্ত বচনের বস্তুগত সত্যতা আছে ।
যেমন :- আকাশ হয় নীল্ , ঘাস হয় সবুজ , মানুষ হয় দ্বিপদবিশিষ্ট্য জীব ইত্যাদি ।
19) সাপেক্ষ যুক্তি কাকে বলে ?
উত্তর:- যে অবরোহ যুক্তির অন্তত একটি অবয়ব সাপেক্ষ বচন, তাকে সাপেক্ষ যুক্তি বলে ।
20) সাপেক্ষ যুক্তি কয় প্রকার ?
উত্তর:- সাপেক্ষ যুক্তি প্রধানত দুই প্রকার । যথা -
(i) প্রাকল্পিক যুক্তি
(ii) বৈকল্পিক যুক্তি
Argument short questions and answers in Bengali
Argument example in Bengali
যুক্তির শর্ট প্রশ্ন উত্তর
Argument definition Philosophy
দর্শনের প্রাকল্পিক ও বৈকল্পিক ন্যায় click here.