Ads

পরিমাণ অনুসারে বচনের শ্রেণীবিভাগ কর।

পরিমাণ অনুসারে বচনের শ্রেণীবিভাগ কর।

পরিমাণ অনুসারে বচনের শ্রেণীবিভাগ কর।





পরিমাণ অনুসারে বচনের শ্রেণীবিভাগ কর।

উত্তর:- কোনো বচনের পরিমাণ বলতে বোঝায় বিধেয় শ্রেনিটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে সামান্য বা বিশেষ ভাবে স্বীকার বা অস্বীকার করাকে বলা হয় পরিমাণ।



পরিমাণ অনুসারে বচনকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি?

উত্তর:- পরিমাণ অনুসারে বচনকে দুটি শ্রেনিতে ভাগ করা যায়।
যথা-
i) সামান্য বা সার্বিক বচন (Universal) এবং ii) বিশেষ বচন (Particular)



সার্বিক বা সামান্য (Universal) কোন বচনগুলিকে বলা হয়?

উত্তর:- সার্বিক বা সামান্য বচন হল - A এবং E বচন।



বিশেষ কোন বচনগুলিকে বলা হয়?

উত্তর:- বিশেষ বচন হল - Iএবং O বচন।



বচন কোনটি দ্বারা নির্ধারিত হয়?

উত্তর:- বচন সামান্য, না বিশেষ তা নির্ধারিত হয় বচনটির উদ্দেশ্যের পরিমাণের উপর।



কীভাবে বুঝব কোনটা সদর্থক বচন বা নঞর্থক বচন?

উত্তর:- সদর্থক বা নঞর্থক বচনকে চেনার জন্য সংযোজকটাকে দেখেই বুঝব যে এটা সদর্থক না নঞর্থক বচন।
যেমন-
সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব। - এখানে হয় আছে তাই এটা হবে সদর্থক বচন।

কোনো মানুষ নয় অমর। - এখানে নয় আছে তাই এটা হবে নঞর্থক বচন



সামান্য বচন কাকে বলে?

উত্তর:- যে বচনে বিধেয় পদটি সমগ্র উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বীকার বা অস্বীকার করে, তাকে সার্বিক বা সামান্য বচন বলে।
অর্থাৎ, বচনের উদ্দেশ্যের সম্পর্ণ ব্যাক্তার্থকে গ্রহণ করা হয়, তাকে সামান্য বচন বলে।

যেমন- সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।
কোনো মানুষ নয় অমর।

এখানে প্রথম উদাহরণে বিধেয় পদটি হল - 'মরণশীলতা (মরণশীল জীব)' কথাটা বলা হচ্ছে সকল মানুষের প্রতি কিছু স্বীকার করা হয়েছে।
দ্বিতীয় উদাহরণে বিধেয় পদটি হল - 'অমরত্ব (অমর)' কথাটা বলা হচ্ছে সকল মানুষ সম্পর্কে অস্বীকার করা হয়েছে।



বিশেষ বচন কাকে বলে?

উত্তর:- যে বচনে বিধেয় পদটি কিছু অনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বীকার বা অস্বীকার করে, তাকে বিশেষ বচন বলে।
অর্থাৎ, বচনের উদ্দেশ্যের আংশিক ব্যাক্তার্থকে গ্রহণ করা হয়, তাকে বিশেষ বচন বলে।

যেমন- কোনো কোনো মানুষ হয় কবি।
কোনো কোনো মানুষ নয় সৎ।

এখানে প্রথম উদাহরণে বিধেয় পদটি হল - 'কবিত্ব (কবি)' কথাটা বলা হচ্ছে কোনো কোনো মানুষের প্রতি কিছু স্বীকার করা হয়েছে।
দ্বিতীয় উদাহরণে বিধেয় পদটি হল - 'সততা (সৎ)' কথাটা বলা হচ্ছে কোনো কোনো মানুষ সম্পর্কে অস্বীকার করা হয়েছে।



বচনটি কীভাবে চিনার উপায় আছে?

উত্তর:- বচনটিকে চিনার উপায় হল- পরিমানককে দেখে। অর্থাৎ, সকল, কোনো, কোনো কোনো

A বচনে পরিমানক ব্যবহার করা হয়- সকল।
E বচনে পরিমানক ব্যবহার করা হয়- কোনো।
I বচনে পরিমানক ব্যবহার করা হয়- কোনো কোনো।
O বচনে পরিমানক ব্যবহার করা হয়- কোনো কোনো।

সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।
কোনো মানুষ নয় অমর।
কোনো কোনো মানুষ হয় সৎ।
কোনো কোনো ছাত্র নয় বুদ্ধিমান।







Classification of Proposition according to Quantity

Classification of propositions according to Quantity in Philosophy

যদি তোমাদের এগুলো ভালো লাগে তাহলে কোমান্ড কর আর শেয়ার কর। তাহলে আমি আরও লিখব তোমাদের জন্য ।


ধন্যবাদ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url