অমাধ্যম অনুমান কাকে বলে? || আবর্তন কাকে বলে?
immediate Inference in Philosophy
immediate Inference (অমাধ্যম অনুমান)
***অমাধ্যম অনুমান কাকে বলে?
উত্তর:- যে অবরোহ অনুমানের সিদ্ধান্তটি একটিমাত্র হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় এবং সিদ্ধান্তটি কখনও হেতুবাক্য থেকে ব্যাপকতর হয় না, তাকে অমাধ্যম অনুমান বলে।
যেমন :-
সকল মানুষ হয় সৎব্যক্তি ।
কোনো কোনো সৎব্যক্তি হয় মানুষ ।
সকল মানুষ হয় সৎব্যক্তি ।
কোনো কোনো সৎব্যক্তি হয় মানুষ । --এই উদাহরণে হেতুবাক্য কোনটি আর সিদ্ধান্ত কোনোটি ?
এই উদাহরনের হেতুবাক্য হল -- "সকল মানুষ হয় সৎব্যক্তি ।"
আর সিদ্ধান্ত হল --- "কোনো কোনো সৎব্যক্তি হয় মানুষ ।"
এখানে একটি অনুমানের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় । তাই একে অমাধ্যম অনুমান বলে ।
অমাধ্যম অনুমান কয় প্রকার ও কী কী ?
উত্তর:- অমাধ্যম অনুমান নয় প্রকার ।
1) আবর্তন (Conversion)
2) বিবর্তন (Obversion)
3) সমবিবর্তন (Contraposition)
4) বিরোধানুমান (Inference by opposition)
5) অন্তরাবর্তন (Inversion)
6) সম্বন্ধ পরিবর্তন (Change of Relation)
7) নিশ্চয়তাঘটিত অনুমান (Modal Consequence)
8) গুনযোগে অনুমান (Innference by Added Determinants)
9) জটিল ধারনাযোগে অনুমান (Inference by Complex Conception)
আবর্তন কাকে বলে ?
উত্তর:- যে অমাধ্যম অনুমানে একটি বচনের গুন অপরিবর্তিত রেখে উদ্দেশ্য ও বিধেয়কে স্থান পরিবর্তন করে একটি নতুন বচন গঠন করাকে বলা হয় আবর্তন ।
যেমন:-
সকল মানুষ হয় সৎব্যক্তি ।
কোনো কোনো সৎব্যক্তি হয় মানুষ । -- এখানে "মানুষ" কথাটি দেখো কোথায় কোথায় আছে ?
প্রথমে উদ্দেশ্য স্থানে(পদে) আছে সেটা হেতুবাক্যে ।
দ্বিতীয় বিধেয় স্থানে (পদে) আছে সেটা সিদ্ধান্তে ।
সকল s হয় p
কোনো কোনো p হয় s
সকল মানুষ হয় সৎব্যক্তি ।
কোনো কোনো সৎব্যক্তি হয় মানুষ । --- এখানে আবার "সৎব্যক্তি" কথাটি দেখো কোথায় কোথায় আছে ?
প্রথমে বিধেয় স্থানে(পদে) আছে সেটা হেতুবাক্যে ।
দ্বিতীয় উদ্দেশ্য স্থানে (পদে) আছে সেটা সিদ্ধান্তে ।
***নোট:- যেমনি বচন হোক না কেন সবসময় বচনের প্রথম পদটিকে উদ্দেশ্যই বলা হবে আর পরে পদটিকে বিধেয় । স্থান পরিবর্তন করার পরও প্রথমটিকে উদ্দেশ্য পদ আর পরে পদটিকে বিধেয় পদ ।
আবর্তনের নিয়ম কী?
আবর্তনের নিয়ম হল --
1) আশ্রয়বাক্যের বা হেতুবাক্যের উদ্দেশ্য সিদ্ধান্তের বিধেয় হবে ।
2) আশ্রয়বাক্যের বা হেতুবাক্যের বিধেয় সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হবে ।
3) আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুন অভিন্ন হবে । অর্থাৎ , গুন পাল্টাবে না । আশ্রয়বাক্য বা হেতুবাক্য সদর্থক হয় তাহলে সিদ্ধান্তও সদর্থক হবে । আবার আশ্রয়বাক্য বা হেতুবাক্য নঞর্থক হয় তাহলে সিদ্ধান্তও নঞর্থক হবে ।
4) যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য নয়, সে পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না ।
হেতুবাক্যে যদি যে পদ ব্যাপ্য হতেই হয় সেই পদকে আগে ব্যাপ্য হতে হবে তারপর সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হবে ।
** ব্যাপ্যতার নিয়ম **
"A" বচন - উদ্দেশ্য পদকে ব্যাপ্য করে ।
"E" বচন - উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয় পদকে ব্যাপ্য করে ।
"I" বচন - উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয়পদকে ব্যাপ্য করে না ।
"O" বচন - বিধেয় পদকে ব্যাপ্য করে ।